হাঁড়ি-কড়াই

শিক্ষা / শিক্ষক (নভেম্বর ২০১৫)

রীতা রায় মিঠু
  • ১০
  • ৪১
সুমি রান্নাঘরে ছিল, ঘড়িতে এগারোটা বাজতেই ভেজা হাত মুছতে মুছতে সুমী রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো, লিভিং রুমের সোফায় কৌশিকের পাশে বসলো। টিভি রিমোট তখন কৌশিকের হাতে, বিবিসি চলছিল। সুমী কৌশিকের হাত থেকে আলগোছে রিমোট নিয়ে চ্যানেল বদলে দিল।
কৌশিক বলল, “ আরে, আমি নিউজটা দেখছিলাম, তুমি কেন চ্যানেল বদলে দিলে?”

-দূর! বিবিসির নিউজ এক ঘন্টা পর পর দেখায়, পরে আবার দেখো। এখন আমার প্রিয় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

-তোমার প্রিয় অনুষ্ঠান, কোনটা? সেই হাঁড়ি-কড়াই?
-হ্যাঁ।
-কি যে মজা পাও কড়াই খুন্তি দেখে? মেয়েদের সকলেই কেন হাঁড়ি খুন্তি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পছন্দ করে বলোতো?
-কারণ সংসারের চাকা মেয়েদেরকেই ঘুরাতে হয়। কাল থেকে যদি হাঁড়ি কড়াই নাড়াচাড়া না করি, তখন বুঝবে, মেয়েদের সকলেই কেন হাঁড়ি খুন্তি নিয়ে নাড়াচাড়া করে।

কৌশিক আর কথা বাড়ালোনা, সাইড টেবিলে রাখা টাইমস ম্যাগাজিন টেনে নিল।


টিভিতে এখন হাতী মার্কা ঢেউ টিনের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে, তার মানে এর পরেই শুরু হবে ‘হাঁড়ি-কড়াই’। সুমী সোফা থেকে উঠে খোলা দরজার দিকে গেলো, সুমী বাথরুমে যাচ্ছে ভেবে কৌশিক খুশী হলো, পাক্কা পনেরো মিনিট হাতে পাওয়া যাবে। এই ফাঁকে কৌশিক আরেকটিবার বিবিসি দেখে নিবে ভেবে রিমোট হাতে নিতেই হাতে করে খাতা কলম নিয়ে সুমী ফিরে এসেছে।
রিমোট সুমীর হাতে ফিরিয়ে দিয়ে কৌশিক বলল, “ কী আশ্চর্য্য, এইতো মাত্র দরজা দিয়ে বেরোলে, এক মিনিটও পেরোয়নি, এত তাড়াতাড়ি কি করে স্টাডি রুম ঘুরে এলে?”
-আমি স্টাডি রুমে গেছি কে বলেছে তোমায়?
-হাতের খাতা কলম দেখে বলছি।
-খাতা কলম কিচেনে ছিল।
-কিচেনে খাতা কলম? তুমি কি রান্না করতে করতে কবিতা লিখো?
“ছি ছি রাণী রাঁধতে শিখেনি, সুক্তোনিতে ঝাল দিয়েছে, অম্বলেতে ঘি,
পরমান্ন রেঁধে বলে ফ্যান ফেলবো কি?”

-ঠিক ধরেছো। কিচেনে বসে আমি কবিতা লিখি, কবিতা পড়ে রান্না করি, এইজন্য এক সেট খাতা কলম কিচেনে রেখে দেই।



শুরু হয়েছে হাঁড়ি-কড়াই, রান্না শেখানোর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে গেস্ট ‘পারমিতা বোস’ ার হোস্ট অনন্যা। উপস্থাপিকা অনন্যা পারমিতা বোসকে দ্রৌপদী দিদিভাই বলে সম্বোধন করে। উপস্থাপিকা মেয়েটিকে সুমীর খুব পছন্দ। দেখতেও খুব মিষ্টি, কথা বলার স্টাইলটাও খুব সুন্দর। পারমিতা দিদি যখন রান্না করেন, অনন্যা এত সুন্দর সুন্দর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে দিদিকে, যে প্রশ্নগুলো সুমীর মনেও জাগে। এই যেমন এক অনুষ্ঠানে অনন্যা পারমিতা দিদিকে প্রশ্ন করেছিল, “ দিদিভাই, নন স্টিক কড়াই বাদ দিয়ে আপনি প্রায়ই লোহার কড়াইয়ে রান্না করেন কেন?”

এই প্রশ্নটা সুমীর মনেও জেগেছিল, নন স্টিক প্যানে রান্না করা কত সহজ, নন স্টিক কড়াইয়ে রান্না করতে তেল কম লাগে, তাছাড়া নন স্টিকের বাসনগুলো হালকা ওজনের হয় বলে নাড়াচাড়া করতে সুবিধা হয়।
পারমিতা দিদি বলেছিল, “ গড়পড়তা বাঙ্গালী মেয়েদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে, বিভিন্ন সোর্স থেকে তাদের আয়রণ পাওয়া দরকার। আয়রণ এনরিচড খাবার তো আছেই, তা ছাড়াও কাস্ট আয়রণ স্কিলেট বা কড়াইতে রান্না করলেও রান্না করা খাবারে কিছু আয়রণ মলিকিউল যোগ হয়ে যায়। আমাদের মা-খালাদের জমানায় নন স্টিকের বাসন পাওয়া যেতো না, উনারাতো লোহার কড়াইতেই রাঁধতেন, এইজন্যই তাঁদের রান্না এত সুস্বাদু হতো।“

সুমীর তখন জানতে ইচ্ছে করছিল, আয়রণ রিচ খাবার কোনগুলো? তাহলে ও খেতে পারে, ওরও মনে হয় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম, চোখে কাজল পড়ার সময় চোখের ভেতরটা কেমন ফ্যাকাশে দেখা যায়।
ঠিক তখনই অনন্যা জিজ্ঞেস করেছিল, -দিদিভাই, এই সুযোগেই দু একটা আয়রণ রিচ খাবারের নাম বলে দাও।

-আমরা সকলেই ভাবি, বুঝিবা শুধু মাংসতেই প্রচুর আয়রণ আছে, আয়রণ কিন্তু অনেক শাক সব্জী, ফলমূলেও আছে। ঘন সবুজ শাক যেমন পালং শাকে প্রচুর পরিমানে আয়রণ আছে।

তরমুজ, বাতাবীলেবু( গ্রামদেশে যেটাকে বলা হয় ‘জাম্বুরা’),আপেল, কলা, কমলা, স্ট্রবেরী, কিসমিস, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, রাজমা, এসব কিছুতেই আয়রণ আছে।

শুনে সুমীর এত ভালো লেগেছিল, এসব তথ্য ও খাতায় নোট করে রাখে। কখন কি কাজে লাগে বলা যায়? এখন ওদের দুজনের ছোট্ট সংসার, বিয়ে হয়েছে দু বছর হয়েছে, পরে ওর সংসার বড় হবে, বাবুকে যদি ছোট থেকেই সঠিক যত্নে লালন পালন করা যায়, তাহলে বাবুর অসুখ করবেনা। সুমী বিভিন্ন ম্যাগাজিন পড়ে, সেখানেও রান্নার রেসিপি পেলে নোট করে রাখে। হাঁড়ি-কড়াই অনুষ্ঠানে দিদিভাই শুধু রান্নার রেসিপিই দেয়না, সাথে অনেক শিক্ষণীয় টিপস দেয়।

কৌশিক এখন বুঝতে পারছেনা সুমী প্রকারান্তরে এসব অনুষ্ঠান দেখে কৌশিকের উপকারই করছে। কৌশিক বিয়ের আগেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে লেকচারার পোস্টে জয়েন করেছে, খুব বেশী বেতন তো পায় না, টিউশনিও দুই চারটা করতে হয়, শুরু থেকেই যদি সুমী সংসারের হাল ধরতে না পারে, তাহলে কৌশিকের কষ্ট বাড়বে বইতো কমবেনা। বিবিসি, সিএনএন দেখে সুমীর সংসার চলবে? রান্নার অনুষ্ঠানকে হেলাফেলা করা উচিত নয়। রান্নার গুণে কত সংসার সুখের হয়, তা সুমীর চেয়ে ভাল কে জানে? সুমীর বাবা সারাজীবনে সুমীর মায়ের মধ্যে একটি গুণই দেখতে পেয়েছেন, সকলের কাছে গল্প করত “ সুমীর মা রাঁধে ভাল, এই একটা কাজে তার খুব দখল আছে”। বাবার মুখে এই কথা কতবার শুনে শুনে সুমীও ভেবে নিয়েছে, ওর মায়ের এই একটি গুণই আছে এবং এটি একটি মহৎ গুণ। নাহলে বাবার মত বদমেজাজী মানুষও কি করে মা সম্পর্কে এই গুণের কথা সবাইকে বলে বেড়ায়!




দুই

সুধী দর্শক, শুভ সকাল। হাঁড়ি-কড়াই অনুষ্ঠান থেকে আমি অনন্যা আপনাদের সবাইকে আজকের অনুষ্ঠান দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কেমন আছেন আপনারা? শীত আসি আসি করছে, ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মুখ থেকে ফুঁ দিয়ে বাতাস বের করলে ধোঁয়ার রিং তৈরী হয়। ছোটবেলায় কত মজা করেছি ফুঁ দিয়ে ধোঁয়ার রিং বানিয়ে। হুম, কাল সকালে পরখ করে দেখুন, তার মানে শীত চলে এসেছে। আর সেই সাথে হাঁড়ি-কড়াইয়ের ‘দ্রৌপদী’ আমাদের সকলের প্রিয় দিদিভাইও চলে এসেছেন। দিদিভাই, তোমাকে সু-স্বাগতম। আজ তুমি কি রান্না করবে?

-অনেক ধন্যবাদ অনন্যা, শীতের আগমনের বার্তা দিলে সবাইকে, সকালে বাতাসে ধোঁয়ার রিং তৈরী করতে বললে, তাহলে আজ হাঁড়ি-কড়াই অনুষ্ঠানে শীতের কিছু রান্না করা যাক।

সুমী আড়চোখে কৌশিকের দিকে তাকালো, কৌশিক টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। সুমী মনে মনে খুশী হয়েছে, আজ শুক্রবার, ছুটির দিন, বর-বউ পাশাপাশি বসে টিভি দেখার মজাই আলাদা। কৌশিককে সুমী জিজ্ঞেস করলো, “ আচ্ছা, উপস্থাপিকা দিদিভাইকে ‘দ্রৌপদী’ বলে কেন? দিদিভাইয়ের নাম পারমিতা।“

কৌশিক হেসে দিল, বলল, নোট খাতায় লেখা নেই?

সুমী বলল, থাক বলতে হবেনা।

কৌশিক সুমীর গা ঘেঁষে বসলো, ডান হাত সুমীর কাঁধে আলতো করে রেখে বলল, “ আমার অভিমানী বউটা, কথায় কথায় অভিমান। বোকা মেয়ে, এটা রান্নার অনুষ্ঠান। মহাভারতের দ্রৌপদী রান্নাবান্নায় ছিলেন পৃথিবী সেরা। তাই যে মেয়ে খুব ভাল রান্না জানে, তাকে আদর করে ‘দ্রৌপদী’ ডাকা হয়। এই যেমন আর দুই এক বছর পর তোমাকে আমি ‘দ্রৌপদী’ ডাকবো।

কৌশিকের মিষ্টি কথায় সুমীর চোখে জল চলে এলো। মানুষটা কথা কম বলে, কিন্তু এত সুন্দর করে বলে।
বিজ্ঞাপন শুরু হয়েছে, সুমী উঠে রান্নাঘরের দিকে গেলো, চায়ের জল বসাবে। সুমী দুই বেলা দুই কাপ চা খায়, কিন্তু শুক্রবার অন্যরকম নিয়ম। কৌশিক যতক্ষণ ঘরে থাকে, কিছু সময় পর পর সুমী চায়ের কাপ হাতে হাজির হয়। দুজনে পাশাপাশি বসে চুক চুক করে চা খায়, আর খুনসুটি করে।

কৌশিক বলেছে, সুমীর হাতের চা নাকি বিশ্বসেরা চা। সুমী নিজে অবশ্য বুঝতে পারেনা, ওর বানানো চা কত ভাল হয়।
“এত ভালো চা বানানোর কৌশল হাঁড়ি-কড়াই অনুষ্ঠান দেখে শিখেছো?”— কৌশিক জিজ্ঞেস করেছিল।

সুমী বলেছিল, “ আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। তবে এই অনুষ্ঠান থেকে কিছু টিপস পেয়েছি। এই যেমন ধরো, দিদিভাই সুস্বাদু চা করার সাশ্রয়ী কায়দা শিখিয়েছেন। শুধু টি ব্যাগ দিয়ে চা সুস্বাদু হয়না, আবার শুধু গুঁড়ো চা পাতা ব্যবহারে খরচ বেশী হয়। তাই টি ব্যাগ এবং গুঁড়ো চা পাতা একসাথে ব্যবহার করলে চা সুস্বাদু হয়, গুঁড়ো পাতা কম খরচ হয়।“

-তুমি কোনটা করো? মায়ের কায়দা নাকি এই দিদিমণির কায়দা?

-মা নিজেও এখন দিদিভাইয়ের কায়দা ফলো করে।

-বাহ! বেশ ভালো। তা দিদিভাই কি শুধু মেয়েদের রান্না শেখায়, নাকি ছেলেদেরকেও শেখায়?

-আজকের অনুষ্ঠানটা দেখো, তাহলেই বুঝবে।





বিজ্ঞাপন বিরতির পর আবার ফিরে এলাম হাঁড়ি-কড়াই নিয়ে রান্নাবাটি খেলতে। দর্শক, দিদিভাই রান্না করবেন, আমরা গল্পে গল্পে অনেক কথা জেনে নেবো। অন্য সময়ের মত এবারেও রেসিপি স্ক্রীনে দেয়া হবে, আপনাদের যদি কারো কিছু জানতে ইচ্ছে করে, ফোন করতে পারেন। ফোন নাম্বার স্ক্রলিং-এ দেখানো হচ্ছে।
আমাদের দ্রৌপদী দিদিভাই, তুমি বলো আজ কি রাঁধবে?

শীতের শুরুতে বাজারে এখন পালং শাক বের হয়েছে, সর্ষে ফুল এসেছে, কালো রঙের তেল চকচকে নতুন বেগুন, নতুন ফুলকপি----এগুলো দিয়েই আজকের অনুষ্ঠান সাজাই।

-দিদিভাই, মাছে ভাতে বাঙ্গালী আমরা, একটা মাছের আইটেম রাখবেনা?

-হা হা হা! অনন্যা, এইজন্যই তুমি অনন্যা। মাছ ছাড়া বাঙ্গালীর চলেনা, আসলে কি জানো, প্রায় সতেরো বছর আমেরিকায় কাটিয়েছি, সামুদ্রিক মাছ আমি খেতে পারিনা বলে অনেককাল মাছ খাওয়া হয়নি, তাই মাছের কথা ভুলেই গেছিলাম।

-আহারে! যাক আর চিন্তা নেই, দেশের মেয়ে দেশে ফিরে এসেছো, ইচ্ছেমত মিঠাপানির মাছ খাবে। আমি কিন্তু আজ পাবদা মাছ যোগার করেছি।

-খুব ভাল করেছো, সীম, বেগুন আর মাসকলাই ডালের বড়ি দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল করব।


সুমী চোখ বড় করে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে, নোট খাতায় লিখে চলেছে। সুমীর কান্ড দেখে কৌশিকের হাসি পেলো। একেবারে পাগলী একটা।

টিভি স্ক্রিনে রেসিপিসহ রান্নার প্রনালী দেখাচ্ছে, সুমী সেগুলোই টুকে নিচ্ছে।




তিন
পালং শাকের তরকারী

উপকরণঃ এক আঁটি পালং শাক, একটি আলু, একটি মূলো, একটি বেগুন, ১২/১৪টি সীম, এক টুকরো কুমড়ো (ঐচ্ছিক), এক মুঠো বুটের ডাল, ৪/৫টি ডালের বড়ি, ৭/৮টি কাঁচামরিচ, এক চিমটি কালোজিরা, (হলুদ, লবন, তেল আন্দাজমত)।

প্রণালীঃ সবগুলো তরকারী খোসাসহ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর সব্জিগুলো লম্বাটে করে টুকরো করে নিতে হবে। মূলো যেহেতু শক্ত, এটা আলু-বেগুনের চেয়ে বেশী সরু করতে হবে, কুমড়ো ছোট টুকরো হবে, সীম আস্ত থাকবে, পালং শাক জলে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুতে হবে, কারণ পালং শাকে অনেক মাটি লেগে থাকে।

কড়াই বা প্যানে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে নীল ধোঁয়া ওঠার আগেই কালোজিরা দিতে হবে, কালোজিরা ফুরফুর করে উঠলেই শুকনো বুটের ডালগুলো তেলে দিতে হবে। ডালগুলো ভাজা হয়ে লালচে বাদামী হতেই ৪/৫টি কাঁচামরিচ একটু চিড়ে তেলে ছাড়তে হবে।

এবার মূলো আর কুমড়োর টুকরো আগে ছাড়তে হবে। মিনিট তিনেক পর আলু, বেগুন, সীম দিতে হবে। হলুদ আর লবন দিয়ে তরকারী নেড়েচেড়ে কড়াইয়ে ঢাকা দিতে হবে। আলগা জল দেয়া যাবেনা, ঢাকা দেয়া থাকলে তরকারী থেকে জল বেরোবে, সেই জলে তরকারী সেদ্ধ হবে। চূলোর আঁচ কিন্তু মাঝারীর চেয়ে একটু কম হবে। মাঝে দুই একবার ঢাকা তুলে তরকারী নেড়ে দিতে হবে যেন কড়াইয়ের তলায় লেগে না যায়।
ছোট আরেকটি প্যান অথবা কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হলে ডালের শুকনো বড়ি ভাজতে হবে। বড়ি লালচে মচমচে হলে চামচ দিয়ে বড়িগুলো কড়াই থেকে তুলে বাটিতে রাখতে হবে। এবং সাথে সাথে চাবি ঘুরিয়ে চূলা বন্ধ করে দিতে হবে ( যে চূলায় বড়ি ভাজা হলো, অপ্রয়োজনে চূলা জ্বালিয়ে রাখা ঠিক নয়, প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের সম্পদ, অপচয় করলে গ্যাসের খনি শূন্য হয়ে যাবে)।

৭/৮মিনিট পর ঢাকা তুলে পালং শাক দিতে হবে।( শাক কিন্তু ডাটিসহ আগেই কেটে রাখতে হবে) আবার ঢাকা দিয়ে দাও, ৬/৭ মিনিট পর ঢাকা তুলে বাকী কাঁচামরিচ দিয়ে লবন টেস্ট করে চূলা অফ করে দিতে হবে।


একজন দর্শক ফোন করেছেঃ দিদিভাই, পালং এর তরকারীতে ডাল ভাজা দিলে কি বড়ি ভাজা না দিলেও চলে? আমি ডালের বড়ি কোথায় পাব?

দিদিভাই বলছেনঃ কলাই ডালের বড়ি এখন বাজারেই পাওয়া যায়। আর ঘরে নিজেও তৈরী করে নিতে পারো। মাসকলাই ডাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখবে, সকালে সেই ডাল পাটা পুতায় পিষে অথবা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে স্টিলের থালায় তেল মেখে সেই থালায় বড়ি দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
পালং শাকের তরকারীতে বুটের ডাল এবং কলাই ডালের বড়ি, দুটোই দেয়া যায়, আবার যে কোন একটিও দেয়া যায়। তবে বুটের ডালের পরিবর্তে কলাই ডালের বড়ি ভেজে দিলে খেতে বেশী ভাল লাগে। সেক্ষেত্রে বড়িভাজা দিতে হয় তরকারী হয়ে যাওয়ার পর। বড়িগুলো একটু বেশী তেলে মচমচে করে ভেজে নিতে হয়। যারা তেলে ভাজা খেতে ভয় পায়, তারা বড়ি ভাজার বদলে বুটের ডাল দেয়া রেসিপি ফলো করতে পারো, তবে বড়ি ভাজা দিয়ে মাসে এক আধদিন পালংশাকের তরকারী রাঁধলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে বলে মনে হয়না। যারা ধনে পাতা পছন্দ করো, পালং শাকের এই তরকারীতে তাজা ধনে পাতা কুচি দিলে খেতে ভাল হয়। তাছাড়া গাঢ় সবুজ শাকে আয়রণ ভাল পরিমানে থাকে।


সর্ষে-পোস্ত দিয়ে বেগুন পাতুরী

উপকরণঃ কালো বা বেগুনী বর্ণের তাজা বেগুন ( লম্বাটেগুলো) ৪টি, সাদা ও লাল সরষে এক টেবিল চামচ, পোস্তদানা দেড় টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১০/১২টি, ফোড়নের জন্য এক চিমটি কালোজিরা, তেল ৩/৪ কাপ, হলুদ লবন আন্দাজমত।

প্রণালীঃ পোস্তদানা এবং সরিষা চা ছাকনীতে নিয়ে ভাল করে ধুতে হবে, এবং একটা বাটিতে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে পাঁচ মিনিট। কাঁচামরিচ,বেগুনগুলো ধুয়ে জল নিংড়ে রাখতে হবে।

ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে চূলা অন করে দিতে হবে, তাপ থাকবে মাঝারি। বেগুন লম্বাটে করে মধ্যম আঙ্গুলের সমান করে টুকরো করতে হবে, টুকরোগুলো মাঝ বরাবর কাটতে হবে।

মিক্সিতে সর্ষে আর পোস্তদানা ঢেলে নিয়ে তাতে তিন টেবিল চামচ জল, ৫টি কাঁচামরিচ, আধ চা চামচ লবন দিয়ে মেশিন ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে হবে। সরষে প্রথম ধাক্কাতে দুই মিনিট ব্লেন্ডার অন রেখে ব্লেন্ড করলে সর্ষে তেতো হয়না।

সর্ষে ব্লেন্ড হতে থাকুক, আমরা ফ্রাইপ্যানে কালোজিরা ফোড়ন দেব, ৩/৪টি কাঁচামরিচ তেলে ছাড়বো। এবার কেটে রাখা বেগুনের টুকরোতে হলুদ-লবন মাখিয়ে টুকরোগুলো একটা একটা করে প্যানে সাজিয়ে দিতে হবে। এই ফাঁকে ব্লেন্ডার মিনিটখানেক অফ রেখে আবার দুই মিনিটের জন্য অন করে দিতে হবে।

বেগুনের টুকরোগুলো উলটে দিতে হবে। বেগুন নরম হয়ে এলে সর্ষে-পোস্তদানার পেস্ট বেগুনে ঢেলে দিতে হবে। মশলা আর বেগুন ভাল করে মিশিয়ে প্যানে ঢাকা দিতে হবে। মিনিট পাঁচেক পর ঢাকা তুলে বেগুনের টুকরোগুলো আবার উলটে দিতে হবে। এবার বাকী ৫/৬টি কাঁচামরিচ চিড়ে দিতে হবে, আধ চা চামচ চিনি দিয়ে মেশাতে হবে। সম্ভব হলে ৩ চামচ সর্ষের তেল চারদিকে ছড়িয়ে প্যানে আবার ঢাকা দিতে হবে।

দুই মিনিট পর চূলো অফ করে দিলেই হবে।

কৌশিক বলল, “ উনি সব কিছুতেই কালোজিরা দেয় কেন?

- একদিন একজন দর্শক এই প্রশ্ন করেছিল। উনি কালোজিরার ভেষজ গুণের কথা বলেছিলেন, আরও অনেক মশলার গুণের কথা বলেছিলেন। আমি লিখে রেখেছি, পরে দেখাবো।
-এখন দেখাও।
-উফ! একটু তর সয়না। দাঁড়াও দেখাচ্ছি, “কালোজিরা এবং হলুদের গুঁড়োর ভেষজ গুণ অনেক। একটি বলি, হলুদ স্মৃতিশক্তি লোপ প্রতিরোধ করে, আমাদের দেশের তুলনায় ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে আলজাইমার্স রোগের প্রকোপ বেশী কারণ ওরা হলুদ খায়না। আর কালোজিরা -----

ফুলকপি রান্না শুরু হয়ে গেছে, কালোজিরার গুণ পরে দেখাবে, নোট খাতায় ফুলকপির রেসিপি লেখা শুরু করলো সুমী।




ফুলকপি স্পেশ্যাল


উপকরণঃ একটা ফুলকপি, তিন চামচ রাই সরিষা (সাদা এবং লাল), আধা কাপ নারকেল কোরা, ৭/৮ টি সবুজ ঝাল কাঁচামরিচ, এক গোছা ধনে পাতা, আধ চামচ কালোজিরে, তেল (আধকাপ), লবন পরিমানমত।
প্রণালীঃ ফুলকপি থেকে ফুলগুলো ছোট করে খুলে নিতে হবে, ধুয়ে ফুলগুলো ঝাঁঝরিতে রেখে গায়ের জল ঝরতে দিয়ে নন স্টিক প্যান অথবা যে কোন ফ্রাই প্যান চূলায় বসিয়ে আন্দাজমত তেল দিয়ে গরম হতে দাও।
তেল থেকে ধোঁয়া উঠার আগেই কালোজিরে , দুটো কাঁচালংকা ( একটু কেটে দিতে হবে) ফোড়ন দিতে হবে, কালোজিরে ফুরফুর করে ভাজা হবে, কাঁচালংকা থেকে সুন্দর গন্ধ বের হবে ( আধ মিনিট সময়ের ব্যাপার)
ফুলকপির ফুলগুলো তেলে ছেড়ে দিতে হবে। আধ চামচ লবন দিয়ে, তাপ মাঝারি আঁচে রেখে কপিগুলো ভাজতে হবে, (কপি ভাজার সময় প্যানে ঢাকা দেয়া যাবে না)।
কপি ভাজা হচ্ছে, এই ফাঁকে সরষে ধুয়ে নিয়ে তার সাথে নারকেল কোরা, চারটি কাঁচালংকা, ধনেপাতা, আধ চামচ লবন পাটাপুতায় অথবা ব্লেন্ডারে পিষে মিহি করে বাটতে হবে, সর্ষে বাটার ফাঁকে ফাঁকে কিন্তু প্যানে ভাজা হতে থাকা কপিগুলো নেড়ে দিতে হবে।
এবার সরষে-নারকেল বাটা সবটুকু ফুলকপিতে ঢেলে দিয়ে খুন্তি দিয়ে সুন্দর করে সর্ষে বাটাটুকু কপির সাথে মেশাতে হবে। এভাবে দুই মিনিট নেড়ে চেড়ে বাকী তিনটি কাঁচালঙ্কা এক চিমটি চিনি দিয়ে প্যান ঢাকা দিয়ে দিতে হবে, চূলা অফ করে দেয়ার কথা ভুলে গেলে চলবেনা।

গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে ফুলকপি স্পেশ্যাল খুব দারুণ যায়।

দর্শকের ফোনঃ দিদিভাই, সরষে বাটা কেন তেতো হয়?

দিদিভাই বলছেঃ সরষে বাটা তেতো লাগে না, যদি সরষে প্রথম পেষাতেই মিহি করে ফেলা যায়। অর্থাৎ, পাটাপুতায় বাটবার সময় গায়ের শক্তি দিয়েই প্রথম পেষাই দিতে হবে, আর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার সময় প্রথমবার একটানা ২/৩ মিনিট ব্লেন্ডার চালিয়ে রাখতে হবে, প্রথম পেষাতেই সরষে ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে যায়, এরপর আর দু একবার ব্লেন্ডার চালালে সর্ষে একেবারে মিহি হয়ে পেস্টের মত হয়ে যাবে। সর্ষের সাথে লবন তো লবনের কাজ করেই, সরষে তেতো লাগেনা

দর্শকের ফোনঃ দিদিভাই, আপনি লোহার কড়াই ব্যবহার করেন, আমার মা তাই করতেন। কিন্তু আমি নন স্টিক ব্যবহার করি, ভুল কিছু করছি?

- ভুল নয় তবে প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে, এখন জানা গেছে, নন স্টিক প্যান সবসময় ব্যবহার করা নাকি ভালোও নয়। আর যদি করতেই হয় তবে নন স্টিকের বাসন খুব ভাল ব্র্যান্ডের হওয়া চাই। ভাল ব্র্যান্ডের নন-স্টিক প্যানে রান্না করে সুখ আছে। রান্নার সময় চূলার তাপ মাঝারি আঁচ হলে ভাল হয়, প্যানে কখনও স্টিল বা লোহার খুন্তি-হাতা ব্যবহার করা যাবেনা, কাঠের খুন্তি ব্যবহার করতে হবে। প্যান ধোয়ার সময় স্পঞ্জ বা নরম সূতি কাপড়ের টুকরো দিয়ে মাঝতে হয়।

বিজ্ঞাপন বিরতি শুরু হয়েছে। সুমী দৌড়ে রান্নাঘরে গেলো, পাঁচ মিনিটের মধ্যে চায়ের কাপ হাতে এসে পৌঁছালো, ঠিক তখনই শুরু হলো রান্নার অনুষ্ঠান।

পাবদা মাছের ঝোলঃ

উপকরণঃ তাজা পাবদা মাছ ৭/৮টি, সীম ১০/১২টি, বেগুন ১টি, ধনে পাতা এক গোছা।
পেঁয়াজ বাটা তিন চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো দুই চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো যে যেমন ঝাল পছন্দ করে, ধনে গুঁড়ো এক চা চামচ। সয়াবিন তেল, লবন , ফোড়নের জন্য কালোজিরা, মাসকলাই ডালের বড়ি ১০/১২টি।

প্রনালীঃ পাবদা মাছ কাটা খুব সহজ, মুখের দুই পাশে যে দুটি পাখা থাকে , সে দুটো ছিঁড়ে ফেলে পেট থেকে পাকস্থলী আর নাড়ি টেনে বের করে ফেলে দিলেই হলো। মাছ ধুয়ে লবন , হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে।
বেগুন একটু লম্বাটে করে টুকরো করে নিতে হবে, সীমের দুই পাশ থেকে মুখ ছোট করে ফেলে দিতে হবে।
এবার নন স্টিক প্যান চূলোয় বদিয়ে চূলোর তাপ মাঝারি রেখে অল্প তেলে মাছগুলো এ-পিঠ ও-পিঠ করে সাঁতলে নিতে হবে। এবার প্যানে আরেকটু তেল ঢেলে তেল গরম হলে তাতে ডালের বড়িগুলো ছেড়ে দিতে হবে। বড়ি মচমচে ভাজা হওয়া চলবেনা। লালচে হতেই তেল থেকে তুলে নিতে হবে।
এবার লোহার কড়াইতে আন্দাজমত তেল দিয়ে, তেম মাঝারি গরম হলে এক চিমটি কালোজিরা ছেড়ে দিতে হবে। কালোজিরা ফুরফুরে ভাজা হবে, তেলে তখন তৈরী করে রাখা বাটা পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়ো, লবন মিশিয়ে সব একসাথে তেলে দিতে হবে। যে বাটিতে মশলা তৈরী রাখা হয়েছিল সেই বাটিতে অল্প জল দিয়ে বাটির গায়ে লেগে থাকা মশলার জলটুকুও কড়াইয়ে ঢেলে দিতে হবে।
এবার মশলা কষানোর পালা, অল্প কষিয়ে সীম আর বেগুন সেই মশলাতে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে কড়াইয়ে ঝোল দিতে হবে। ঝোল ফুটে উঠলে মাছগুলো ছেড়ে দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটাতে হবে। এবার ভেজে রাখা বড়িগুলো ছেড়ে দিতে হবে। চূলার তাপ থাকবে মাঝারি, তিন মিনিট পরেই ধনেপাতা কুচি দিয়ে মাছের ঝোলের চূলোর চাবি অফ করে দিতে হবে।




কৌশিকের ক্ষিদে পেয়েছে, সুমী আর কতক্ষণ এই রান্না দেখবে?
সুমী ভাবছে, ওর বরের নিশ্চয়ই ক্ষিদে পেয়েছে, আর তিন মিনিটের মধ্যেই রান্নার অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে।
রান্নাঘরে ময়দা মাখা আছে, পরোটা বানাতে বেশীক্ষণ লাগবেনা। পরোটার সাথে আজ ‘শেরাটন ওমলেট’ বানাবে সুমী। গত অনুষ্ঠানে শেরাটন ওমলেটের রেসিপি ছিল, সুমী তা টুকে নিয়েছে। সব কিছু রেডি করা আছে, ঘরে বসে ফাইভ স্টার হোটেলের খানা, কৌশিক নিশ্চয়ই খুশী হবে।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # সাবাশ , সাবাশ ---, অনেক সুন্দর গল্প । আর দিদির গল্প মানেতো ---কথার খই ফুটার মত । এত কতা যে কোথায় পায়----, এ এক অবাক ব্যপার । গল্প ম্যারাথন হতেই থাকে----, তাতে কি ! ভাল লাগলে পাঠক পড়তে বাধ্য হবে । ধন্যবাদ ।।
এশরার লতিফ রীতা দি' এবার সিদ্দিকা কবিরকে হার মানিয়ে দিলেন। ব্যতিক্রমী গল্প। ভালো লাগলো অনেক।
মোজাম্মেল কবির অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটা গল্প পড়লাম দিদি... আমার বউকে পড়তে বলবো এতে আমার ঘরেও এমন রান্না হবে দিদি...
আমার পাগলা জাদু ভাইরে, এমন সুস্বাদু, সুবাসিত কমেন্ট পেয়েতো আকুল হলাম তাইরে!
রেজওয়ানা আলী তনিমা চমৎকার ও ব্যতিক্রমী। অনেক শিক্ষক নিয়ে লেখা হয়, রন্ধনের মত একটা জরুরী আটপৌরে বিষয়েরটা নিয়ে কোথাও পড়িনি।আপনার লেখনীও বেশ সাবলীল, ভালোলাগে পড়তে।
লাভ ইউ তনিমা। সার্থক হলো লেখাটি। আমি চেয়েছিলাম ব্যতিক্রমী কিছু লিখতে, একজন পাঠকের কমেন্টে তা উঠে এসেছে। আমি ধন্য।
ফয়সল সৈয়দ অসাধারণ । আপনার গল্প আমি আগে পড়ে নি। আপনার গল্প বলার স্টাইল আছে। পাঠকের চোখ আটকে থাকবে আপনার সাবলীল লেখায় । শুভ কামনা রইল। ভোটিং বন্ধ দেখে হোঁচট গেলাম। প্রাপ্যটুকু দিতে পারলাম না।
ফয়সল, তোমার প্রফাইল ছবি দেখে মনে হচ্ছে, আমার কন্যার বয়সী। কন্যার বয়সী পুত্রটি এত সুন্দর করে কমেন্ট করেছে যে অসাধারণ ভালো লাগায় মন ভরে গেছে। তোমাকে অনেক ভালোবাসা। ভোটিং বন্ধ আছে? মনে হয় গত সংখ্যায় দ্বিতীয় হয়েছি, তাই।
দীপঙ্কর বেরা দিদি , আপনার ভোটিং সহযোগিতায় আমরাও উপরে উঠতে চাই । ভাল থাকবেন ।
Fahmida Bari Bipu ভাল লাগল দিদি। আপনার লেখার আপন আপন ব্যাপারটা আবার অনুভব করলাম। রেসিপি গুলো বেশ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছেন। কেন তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। ভাল থাকবেন।
বিস্তারিত দিয়েছি নতুন রাঁধুনীদের সহজ শিক্ষার জন্য, বিশেষ করে ছেলেদের জন্য।
এস আই গগণ দারুন লিখেছেন, স্পেস একটু কম হলে দেখতে ভাল লাগতো। শুভ কামনা, পাতায় আমন্ত্রণ রইলো।
গগণ, খুবই ভালো লাগছে এত সুন্দর কমেন্ট পেয়ে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম।

১৯ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৬৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪